সিবিআই - ইডি র ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না : মলয় ঘটক

22nd February 2021 7:05 pm বর্ধমান
সিবিআই - ইডি র ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না : মলয় ঘটক


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : এই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে অতি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই ও ইডি । এর বিরোধীতা করে সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক জানালেন ,’ ভোট আসতেই ভয় দেখানো শুরু হয়েছে। কাউকে বলছে ইনকাম ট্যাক্সের রেইড করাবে । আবার কউকে বলছে সিবিআই এর নোটিশ ধরাবে । এছাড়াও কাউকে কাউকে অন্য ভাবে  ভয় দেখাচ্ছে যাতে তারা ভোটের ময়দানে না নামে । ’এই প্রসঙ্গে তুলে ধরে  মলয় বাবু বলেন ,এইসব করে কিছু লাভ হবে না । কারণ বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি ।ক্ষুদিরাম ও নেতাজীর ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ  পশ্চিম  বাংলার মানুষ ভয় খায়না , খাবেও না । তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ফের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন । ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় ’এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে এদিন বেলায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভা এলাকায় বাইক মিছিল সহযোগে রোড শো করে তৃণমূলের মমতার দ্যুতেরা  । মেমারি তারকেশ্বর রাজ্য সড়কের আঝাপুর থেকে সেই রোড শো শুরু হয়। প্রায় ১৭ কিমি পথ পেরিয়ে রোড শো শেষ হয় জামালপুরের মাধবপুর এলাকায়। মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার , ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক ও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান রোড শোয়ে অংশ নেন । রোড শো শেষে মাধবপুরে হয় তৃণমূলের জনসভা । সেই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মলয় ঘটক বিজেপি ও কেন্দ্রের সকারের তীব্র সমালোচনা  করেন । মলয় ঘটক এদিন বলেন ,বিজেপি ইডি , সিবিআইয়ের ভয় যতই দেখাক ,তাতে কিছু যায় আসে না । বাঙালিরা যে ভয় খাওয়ার লোক নয় সেটা  আগামী নির্বাচণে তারা প্রমাণ করেদেবে । বাংলায় বিজেপির কোন জায়গা নেই । পশ্চিম বাংলার মানুষ  যে  বিজেপিকে চায়না সেটা ভোটের পর আরো একবার প্রমান হবে ।  কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে মলয় ঘটক বলেন ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ বছরে বাংলার মানুষের জন্য প্রভূত উন্নয়ন কাজ করেছেন । সেই তুলনায় সাত বছর ধরে  মোদি দিল্লির মসনদে বসে থাকলেও মানুষের জন্য কোন কাজ করেনি ।কোভিড অতিমারির  সময়ে তৃণমূলের কর্মীরাই বাংলার মানুষের পাশে থেকেছে।আর মোদি ৬৫ দিন লকডাউন  ঘোষনা করে দিয়ে তার মধ্যেই ১৭ বার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে গিয়েছে । একই সাথে লকডাউনের সূযোগ নিয়ে ১৫০ টা রেলের রুট বিক্রি করেছে ও ৫০ টা স্টেশন বিক্রি করেছে । শুধু তাই নয়, লকডাউনের  সূযোগ নিয়ে মোদি সরকার গোটা দেশটাকেই বিক্রি করার চক্রান্ত শুরু করে দিয়েছিল । দিল্লিতে যে সরকার আছে সেটা জনতার সরকার নয় ।সেটা হচ্ছে ‘হাম দো হামরা দো-র’ সরকার । মোদি আর অমিত শাহ বলছে , ’হাম দো , আউর আদানি ও আম্বানি হামরা দো । ’ বিজেপি ও কেন্দ্রের সরকারের এত সমালোচনা করলেও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিনিকেতনে সিবিআইয়ের হানা দেওয়া প্রসঙ্গে মলয় বাবু  সরাসরি কোন মন্তব্য করতে চান নি ।তবে ঘুরপথে তিনি বলেন , ’স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিল এই বাংলা।  ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদও বাংলাকে ও  বাঙালিকে দমাতে পারেনি ।ক্ষুদিরাম বসু হাসতে হাসতে ফাঁসির কাঠে ঝুলেছিলেন । নেতাজী ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বাদের বিরুদ্ধে সন্মুখ সমরে থেকে লড়াই করেছিলেন । তাই ভয় দেখিয়ে কিছু লাভ হবে না  বলে মলয়  ঘটক এদিন মন্তব্য করেন । ”

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।